Wednesday, January 24, 2018

নষ্ট আমি

নষ্ট পৃথিবী, নষ্ট আমি 
প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রন করে চলেছি
আমার থাবা আর ভয়ংকর নখগুলি

অসহায় হই তখন, চারিদিকে দেখি যখন
ভদ্রবেশে ভদ্র মানুষ আঁচড় কাটে 
রক্তাক্ত করে হিংস্ররুপে 
চারিদিকে সাড়া পড়ে, তারা ভদ্র মানুষ বটে

ভদ্রই তো , ভেবে ঠকেছি 
নষ্ট এই আমি।

Friday, January 12, 2018

ভোলার আত্মতৃপ্তি

কী যেন একটা প্রবাদ আছে না, ' নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো'
বনের মোষ তাড়ানো হিত কাজ, কিন্তু এর প্রতিক্রিয়া যে হিত হবে তা আশা করা বোকামির নামান্তর।
যেমন ধরুন, ভোলা প্রতিদিন রাস্তায় যাওয়ার সময় অন্যের শুকাতে দেয়া ধানে যদি হাঁস মুরগী দেখে , তবে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। অন্যের ধানের হাঁস মুরগী তাকে তাড়াতে হবে।


আবার ধরুন ভোলা অনেক মানুষের সাথে বসে আছে, হঠাত করে দেখলো কারো গালে মশা বসে আছে। ব্যাস। তাকে মশা মারতে হবে।

Monday, January 1, 2018

অবহেলিত ভক্তকুল

'কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া। চরণে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি গোপনে তোমারে, সখা, কত ভালোবাসি। ভেবেছিনু কোথা তুমি স্বর্গের দেবতা, কেমনে তোমারে কব প্রণয়ের কথা। ভেবেছিনু মনে মনে দূরে দূরে থাকি চিরজন্ম সঙ্গোপনে পূজিব একাকী– কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়, কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়। আপনি আজিকে যবে শুধাইছ আসি, কেমনে প্রকাশি কব কত ভালোবাসি॥'
তীব্র আক্ষেপে জীবন পার করতে কার ভালো লাগে! প্রতিদিন যে দেবীর চরণে প্রস্ফুটিত ফুল ছিটিয়ে দেই, সেই দেবীর অবহেলা ছাড়া আনুগ্রহ পাবার আশা ক্ষীণ। শুধু শুধু সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের অপচয় বই তো আর কিছু পাবার আশা নেই। আধুনিক দেবী দেখেশুনে পুজো নেয়। যাকে ভালো লাগে, সুন্দর শৌর্যধারী যে, দেবী তার মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনে, তার পুজোর জন্য তীব্র হৃদয়ে অপেক্ষা করে।বাদ বাকি ভক্তরা আনুগ্রহের ছিটেফোটাও খুঁজতে গিয়ে চোখে সরষের ফুল দেখে। দেবীর চিন্তাও ঠিক আছে। কর্কশ, তীক্ষ্ণ কণ্ঠ দেবী শুনবে কেন, বন্য পশুর গায়ের গন্ধ দেবী শুকবে কেন, বিশ্রি মুখ দেবী দর্শন করবে কেন?
অবহেলিত ভক্তকুলের উচিত দেবীকে বিরক্ত না করা।

Recent Post