'কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া
তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া।
চরণে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি
গোপনে তোমারে, সখা, কত ভালোবাসি।
ভেবেছিনু কোথা তুমি স্বর্গের দেবতা,
কেমনে তোমারে কব প্রণয়ের কথা।
ভেবেছিনু মনে মনে দূরে দূরে থাকি
চিরজন্ম সঙ্গোপনে পূজিব একাকী–
কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়,
কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়।
আপনি আজিকে যবে শুধাইছ আসি,
কেমনে প্রকাশি কব কত ভালোবাসি॥'
তীব্র আক্ষেপে জীবন পার করতে কার ভালো লাগে! প্রতিদিন যে দেবীর চরণে প্রস্ফুটিত ফুল ছিটিয়ে দেই, সেই দেবীর অবহেলা ছাড়া আনুগ্রহ পাবার আশা ক্ষীণ। শুধু শুধু সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের অপচয় বই তো আর কিছু পাবার আশা নেই। আধুনিক দেবী দেখেশুনে পুজো নেয়। যাকে ভালো লাগে, সুন্দর শৌর্যধারী যে, দেবী তার মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনে, তার পুজোর জন্য তীব্র হৃদয়ে অপেক্ষা করে।বাদ বাকি ভক্তরা আনুগ্রহের ছিটেফোটাও খুঁজতে গিয়ে চোখে সরষের ফুল দেখে। দেবীর চিন্তাও ঠিক আছে। কর্কশ, তীক্ষ্ণ কণ্ঠ দেবী শুনবে কেন, বন্য পশুর গায়ের গন্ধ দেবী শুকবে কেন, বিশ্রি মুখ দেবী দর্শন করবে কেন?
অবহেলিত ভক্তকুলের উচিত দেবীকে বিরক্ত না করা।
No comments:
Post a Comment